শান্তি বজায় রাখতে হুগলীর রিষড়ার রাস্তায় শুরু হল সিআরপিএফ এর টহল

28th February 2020 হুগলী
শান্তি বজায় রাখতে হুগলীর রিষড়ার রাস্তায় শুরু হল সিআরপিএফ এর টহল


হুগলীর রিষড়ার রাস্তায় টহল সি আর পি এফ এর।
আচমকাই শুক্রবার সকালে রিষড়া বাসিদের ঘুম ভাঙলো ভারি বুটের আওয়াজে। কৌতুহলে বাড়ির বাইরে বেরতেই চক্ষু চড়কগাছ। রিতিমত এলাকায় টহল দিচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা চমকে গেলে কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলেন বিষয়টি।পথ চলতি সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বললেন পুলিশ আধিকারিকরা এবং এলাকায় সমস্যা থাকলে জানাতে পারেন আমাদের এ কথাও বললেন ।  রিষড়া এলাকায় সব রকম জাতিদের বাসবাস। দিল্লির বিষয়টিতে শিক্ষা নিয়ে রিষড়াতে এক কম্পানী আধা সামরিক বাহিনী পাঠানো হলো।  চন্দনননগর পুলিশ কমিশনারেটে এসিপি ২ ও রিষড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রবীর দত্ত  টহল দারির নেতৃত্ব দেন। মুলত মুসলিম অধ‍্যুষিত  এলাকায় টহল দিতে দেখা যায় এই আধা সামরিক বাহিনীকে। পুলিশ সূএে খবর চন্দননগর পুলিশ কমিশনাররেট  জুড়ে চলবে এই টহল। গত কাল ডানকুনি উত্তরপাড়া এলাকায়  চলেছে টহল, আজ সকাল থেকে রিষড়া শ্রীরামপুরে চলবে এই টলহ। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মূল কারণই হচ্ছে এই টহলদারি।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।